যীশু খ্রীষ্ট
বাইবেল আমাদের শেখায়, যীশু খ্রীষ্ট হলেন ঈশ্বরের পুত্র (যোহন ৩:১৬) যার মধ্যে ও যার দ্বারা ঈশ্বর আমাদের কাছে প্রকাশিত হয়েছেন (ইব্রীয় ১:১,২)। তিনিই ঈশ্বরের বাক্য (যোহন ১:১), অদৃশ্য ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি (কলসীয় ১:১৫)। তিনি সৃষ্ট নন বা জাতও নন, “পুত্র” শব্দের আক্ষরিক অর্থে তার মুল্যায়ন চলেনা; তিনি সনাতন। তিনি ঈশ্বর (যোহন ১:১)। তিনিই মানুষ ও ঈশ্বরের মধ্যে একমাত্র মধ্যস্থতাকারী (১ তিমথি ২:৫)। ঈশ্বর সম্পর্কে প্রকৃতপক্ষে আমরা যা কিছু জানতে পারি তা, যীশু খ্রিষ্টের দ্বারা ও তার মধ্যে জানতে পাই, কারণ তাঁর মধ্যেই ঈশ্বরত্বের সমস্ত পূর্ণতা দৈহিকরূপে বাস করে (কলসীয় ২:৯)। তিনি ঈশ্বরের ব্যেক্তিসত্তার স্পষ্ট প্রতিরূপ, সৃষ্টিকর্তা ও বিশ্বচরাচরের ধারক (কলসীয় ১:৬; ইব্রীয় ১:৩)। তিনি অন্য কোন দেবতা নন, কিন্তু স্বয়ং ঈশ্বর, ঈশ্বরের সাথে এক (যোহন ১৭:২২) যিনি ত্রিত্ব। ঈশ্বর পিতা, ঈশ্বর পুত্র, ঈশ্বর পবিত্র আত্মা। কিন্তু ঈশ্বর তিনজন নন। তিনি এক, তারা তিনে এক। এটা কিভাবে সম্ভব? এটা এরাকম, কারণ, ঈশ্বর সত্য, ঈশ্বর আনন্দ, ঈশ্বর প্রেম। সত্যের স্বরূপে সমষ্টিগতভাবে ঈশ্বর হলেন সর্বজ্ঞ, জ্ঞাতা ও সর্বজ্ঞানী আত্মা | প্রেমে, তিনি প্রেমিক, প্রিয়তম এবং প্রেমের আত্মা | আনন্দে তিনি আনন্দপূর্ণ ব্যাক্তি, আনন্দের বিষয় ও অনন্দের আত্মা |অব্রাহামের আগে যীশু ছিলেন (যোহন৮:৫৮)| এই বিশ্ব ব্রম্ভান্ড সৃষ্টের আগেও যীশু ছিলেন (যোহন১:১-২), যীশুই সনাতন|সকল বস্তু যীশুর দ্বারা ও যীশুর জন্য সৃষ্ট হয়েছে (কলসীয় ১:১৬)| তিনিই ঈশ্বরের উত্তরাধিকারী, সমগ্র সৃষ্টির প্রথমজাত (কলসীয় ১:১৫)| তিনিই সৃষ্টির মুক্তিদাতা, জগতের পরিত্রাত, যে কারনে তিনি মানব রূপ নিলেন (যোহন ১:১৪), আমাদের পাপের শাস্তি ভোগ করলেন ও ঈশ্বরের ধার্মিকতা পূর্ণ করলেন (ইব্রীয় ২:৯-১৮)| তিনি মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হলেন ও নুতন সৃষ্টির রচয়িতা হলেন, যাতে যারা যারা তাকে বিশ্বাসের বাধ্যতায় গ্রহন করেকরে তারা ঈশ্বরের রাজ্যের উত্তরাধিকারী হয়| তিনি শেষ দিনে আবার আসবেন মৃত ও জীবিতের বিচার করতে (২তিম. ৪:১)|